বিয়ে করেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নামিয়া আমিন।
জেমসের ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজ বুধবার এক বার্তায় দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, জেমস-নামিয়ার পরিচয় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। ২০২৪ সালের ১২ জুন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ৮ জুন এই দম্পতির সংসারে আসে পুত্র সন্তান। তার নাম জিবরান আনাম।
নতুন জীবন নিয়ে জেমস বলেন, আল্লার অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যতদিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে। সবাই আমাকে প্রার্থনায় রাখবেন।
জেমসের প্রথম স্ত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রথি। ১৯৯১ সালে বিয়ের পর ২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। প্রথম সংসারে জেমসের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। এরপর জেমস বিয়ে করেন বেনজির সাজ্জাদকে। ২০১৪ সালে বেনজিরের সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয়। সেই পরিবারে এক মেয়ে আছে।
জেমসের ম্যানেজার জানান, জেমস বর্তমানে নামিয়ার সঙ্গে ঢাকার বনানীতে বাস করছেন। নামিয়ার বাবা ও মা স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। নামিয়াও যুক্তরাষ্ট্রে বড় হয়েছেন। সেখানে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।
১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন জেমস। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাবার সঙ্গে গান নিয়ে অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন জেমস। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে থাকা শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীতজীবনের শুরু।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ব্যান্ডদল 'ফিলিংস'। জেমস ছিলেন সেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম 'স্টেশন রোড' প্রকাশিত হয়।
১৯৮৮ সালে 'অনন্যা' নামের অ্যালবাম প্রকাশের পর সুপারহিট হয়ে যান তিনি। এরপর ১৯৯০ সালে 'জেল থেকে বলছি', ১৯৯৬ সালে 'নগর বাউল', ১৯৯৮ সালে 'লেইস ফিতা লেইস' এবং ১৯৯৯ সালে 'কালেকশন অফ ফিলিংস' অ্যালবামগুলো 'ফিলিংস' থেকে বের করা হয়।
'নগর বাউল' ব্যান্ডের অ্যালবামগুলো হলো, 'দুষ্টু ছেলের দল' ও 'বিজলী'। জেমসের একক অ্যালবামগুলো হলো—'অনন্যা', 'পালাবি কোথায়', 'দুঃখিনী দুঃখ করো না', 'ঠিক আছে বন্ধু', 'আমি তোমাদেরই লোক', 'জনতা এক্সপ্রেস', 'তুফান' ও 'কাল যমুনা'।
জেমসের গাওয়া সেরা ১০ গানের তালিকায় আছে—বাংলাদেশ, জেল থেকে বলছি, মা, দুঃখিনী দুঃখ করো না, লেইস ফিতা লেইস, বাবা, বিজলী, দুষ্টু ছেলের দল, মীরাবাঈ, পাগলা হাওয়া, গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া।
চলচ্চিত্র প্লেব্যাকেও সফল হয়েছেন জেমস। ২০১৪ সালে 'দেশা: দ্য লিডার' ও ২০১৭ সালে 'সত্ত্বা' ছবির 'তোর প্রেমেতে অন্ধ আমি' গানের জন্য দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
শুধু দেশ নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক জনপ্রিয় এই তারকা শিল্পী। বাংলা গানের পাশাপাশি 'গ্যাংস্টার' ছবির 'ভিগি ভিগি' গানটির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর 'ও লামহে' ছবিতে 'চল চলে' এবং 'লাইফ ইন অ্যা মেট্রো' ছবির 'আলবিদা' ও 'রিস্তে' শিরোনামের গানগুলো গেয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি।
পাঠকের মন্তব্য
আপনার মতামত দিন
সাম্প্রতিক মন্তব্য (১)
সাকিব আহমেদ
২ দিন আগেখুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঠিক প্রতিফলন দেখা গেছে। ধন্যবাদ!