বশীর আহমেদ একজন সুরের জাদুকর। প্রেম, বিরহ ও ভালোবাসার সিনেমায় তার গাওয়া গান আজও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। অসংখ্য আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তিনি এ দেশের সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন।
আজ ১৯ নভেম্বর বশীর আহমেদের জন্মদিন। ১৯৩৯ সালের ১৯ নভেম্বর কলকাতার খিদিরপুরে তার জন্ম। জন্মদিনে এ গুণী শিল্পীর বাছাই করা ১০ টি গানের কথা তুলে ধরা হলো।
বশীর আহমেদের গাওয়া বিখ্যাত একটি গান 'অনেক সাধের ময়না আমার বাঁধন কেটে যায়'। 'ময়নামতি' সিনেমার গান এটি। পর্দায় গানটিতে ঠোঁট মেলান রাজ্জাক। গীতিকার সৈয়দ শামসুল হক, সুর করেন বশীর আহমেদ। গানটির আবেদন এখনো রয়ে গেছে।
'আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো'— মনের মতো বউ সিনেমার গান। রাজ্জাক ছিলেন নায়ক। তার নায়িকা ছিলেন সুচন্দা। গানটির গীতিকার ও সুরকার খান আতাউর রহমান। বেদনা ও বিরহের এই গানটি শোনা যায় আজও অসংখ্য মানুষের মুখে।
'পিঞ্জর খুলে দিয়েছি'— তুমুল সাড়া জাগানো একটি গান। বশীর আহমেদের গাওয়া এই গানটি ঢাকাই সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমার নাম 'আপন পর'। নায়ক ছিলেন জাফর ইকবাল। গানের কথা ও সুর— খান আতাউর রহমান।
'ওগো প্রিয়তমা ওরা জানতে চেয়েছে তুমি আমার সোহাগিণী হলে কেমনে'। বশীর আহমেদ ও তার স্ত্রী মিনা বশীর দ্বৈতভাবে গানটি গেয়েছেন। কয়েক দশক ধরে গানটি মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। গানটির গীতিকার কে জি মুস্তাফা।
'ময়নামতি' সিনেমার আরেকটি জনপ্রিয় গান 'ডেকো না আমারে তুমি পিছু ডেকো না'। সিনেমাটির পরিচালক কাজী জহির। রাজ্জাক ও কবরী জুটির সফল একটি সিনেমা ময়নামতি।
'সুরের বাঁধনে তুমি যতই কণ্ঠ সাধ তাকে আমি বলব না গান'— পরিচালক রহিম নওয়াজের 'মনের মতো বউ' সিনেমার গান এটি। রাজ্জাকের লিপে গানটি দারুণ মানিয়ে যায়। রাজ্জাকের নায়িকা ছিলেন সুচন্দা। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় 'মনের মতো বউ' সিনেমাটি।
'আহা কী যে সুন্দর হারিয়েছি অন্তর'— এই গানটি মনের মতো বউ সিনেমার। বশীর আহমেদ ও সাবিনা ইয়াসমিন গানটিতে কণ্ঠ দেন।
তার গাওয়া 'খুঁজে খুঁজে জনম গেল' গানটি 'সন্ধান' সিনেমার। গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুর করেছেন আনোয়ার পারভেজ। নায়ক ছিলেন রাজ্জাক। সিনেমাটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন। রাজ্জাকের লিপে গানটি ব্যবহার করা হয়।
'তোমার কাজল কেশ ছড়ালো বলে এই রাত এমন মধুর'— এটি বশীর আহমেদের গাওয়া একটি আধুনিক গান। গীতিকার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও সুরকার আব্দুল আহাদ।
'সজনী গো ভালোবেসে এত জ্বালা কেন বলো না'— এই গানের সুরকার সুবল দাস। বশীর আহমেদের গাওয়া এই গানটি এখনো নতুন প্রজন্মের মাঝে শোনা যায়।
এইরকম আরও বহু গান তিনি গেয়েছেন জীবদ্দশায়, যা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত আজও।
পাঠকের মন্তব্য
আপনার মতামত দিন
সাম্প্রতিক মন্তব্য (১)
সাকিব আহমেদ
২ দিন আগেখুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঠিক প্রতিফলন দেখা গেছে। ধন্যবাদ!