রুনা লায়লা এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী। বহু দেশে তিনি গান করেছেন এবং পেয়েছেন বিপুল ভালোবাসা। বাংলাদেশের বাংলা গানকে তিনি বিশ্বের নানান দেশে পৌঁছে দিয়েছেন এবং সম্মানিত হয়েছেন। অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন নিজেকে। স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।

আজ সোমবার ১৭ নভেম্বর রুনা লায়লার জন্মদিন।

ইতোমধ্যে সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ করেছেন রুনা লায়লা (৭২)। ১৮টি ভাষায় গান করেছেন। সামনের দিনগুলোতেও গান নিয়েই বাঁচতে চান এই নন্দিত শিল্পী। গানকে ঘিরেই তার সব স্বপ্ন।

দ্য ডেইলি স্টারের সাথে জন্মদিনসহ অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

১৭ নভেম্বর আপনার জন্মদিন, বিশেষ দিনটি নিয়ে পরিকল্পনা কী?

রুনা লায়লা: তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। পারিবারিকভাবেই দিনটি উদযাপন করা হবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাব। এর বেশি কিছু নয়। ঘরোয়াভাবেই কাটবে দিনটি।

জন্মদিনে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হোন। কেমন লাগে?

রুনা লায়লা: খুব ভালো লাগে। আমার জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এখনো পাচ্ছি। এটা তো ভালো লাগারই বিষয়। মানুষের ভালোবাসা পাওয়া অনেক বড় বিষয়। ভাগ্যের ব্যাপার এটা। এজন্য ভাগ্যবান মনে করি। মানুষের ভালোবাসা পেলে আরও ভালো ভালো গান করতে উৎসাহী হই। আনন্দ পাই।

সারাবছরই কি নতুন নতুন গান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন আপনি?

রুনা লায়লা: গানই জীবনের সবকিছু। গান দিয়েই জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দিলাম। বাপ্পা মজুমদারের সুরে একটি গান করেছি। সামনে আসবে। কনসার্ট করছি। কম্পোজিশন করছি। নতুন নতুন গান নিয়ে ভাবছি। এই তো।

গানে গানে ৬০ বছর পার করলেন। কেমন অনুভূতি কাজ করছে?

রুনা লায়লা: এটাকে আল্লাহর রহমত বলব। কেননা, ৬০ বছর ধরে গান করে আসছি। গানকে ভালোবেসে, মানুষের ভালোবাসা নিয়ে গানের সঙ্গেই আছি। ৬০ বছর ধরে গান করার জন্য মানুষের আশীর্বাদ আছে, ভালোবাসা আছে এবং সৃষ্টিকর্তার রহমত আছে। অনুভূতি অবশ্যই সুখকর ও আনন্দের।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারের অর্জন?

রুনা লায়লা: সবই অর্জন। মানুষের ভালোবাসা পাওয়া বড় অর্জন। যেখানেই যাই মানুষের ভালোবাসা পাই। মানুষ আমার গান শুনেন, আমার জন্য মন থেকে দোয়া করেন। আমি আপ্লুত হই এত মানুষের ভালোবাসা পেয়ে। কাজেই আমি মনে করি সংগীত জীবনের বড় পাওয়া হচ্ছে মানুষের ভালোবাসা।

এতদূর আসার পেছনে কোনো সংগ্রাম করতে হয়েছে কী?

রুনা লায়লা: না। আমাকে গান করার জন্য তেমন কোনো সংগ্রাম করতে হয়নি। ওপরওয়ালার রহমতে আমি গান করে গেছি। তবে, এতদূর আসার পেছনে আমার মায়ের অবদানই বেশি। মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। যখনই গান গাইতে যেতাম ছোটবেলায় মা সঙ্গে যেতেন।

গান নিয়ে আগামীর ভাবনা কী?

রুনা লায়লা: গান নিয়েই যত ভাবনা। আগামীতে যেন আরও গাইতে পারি। নতুন নতুন গান করতে পারি। শ্রোতাদের জন্য ভালো ভালো গান উপহার দিতে চাই। গান নিয়েই আগামীর যত স্বপ্ন।