কন্নড় সিনেমার প্রখ্যাত অভিনেতা হরিশ রায় আজ ৬ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেছেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বেঙ্গালুরুর কিডওয়াই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

হরিশ রায় তার অভিনয়ের জন্য দর্শকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। 'ওম' ছবিতে ডন রায় ও 'কেজিএফ' সিরিজে চাচা চরিত্রে তার অভিনয় এখনো ভক্তদের মনে গেঁথে আছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যান্সার তার শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে তিনি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।

কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি. কে. শিবকুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, 'কন্নড় সিনেমার বিখ্যাত খল অভিনেতা হরিশ রায়ের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগৎ অসাধারণ প্রতিভা হারাল। তিনি 'ওম', 'হেলো ইয়ামা', 'কেজিএফ' ও 'কেজিএফ ২'-এ দারুণ অভিনয় করেছেন। ঈশ্বর তার আত্মাকে শান্তি দিন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই দুঃখ সইবার শক্তি দান করুন।'

অভিনেতা গোপি গৌডরু পূর্বে হরিশ রায়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। যেখানে অসুস্থ অবস্থায় হরিশ আর্থিক সহায়তা চেয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন, তিনি সুস্থ হয়ে আবার অভিনয়ে ফিরতে চান।

ওয়ান ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার একটি ইনজেকশনের দাম ছিল প্রায় ৩ লাখ ৫৫ হাজার রুপি। পুরো চিকিৎসা নিতে (৬৩ দিনে) তিনটি ইনজেকশন প্রয়োজন হতো, যার মোট খরচ ১০ লাখ ৫ হাজার রুপি। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ১৭ থেকে ২০টি ইনজেকশন প্রয়োজন হয়, ফলে মোট খরচ দাঁড়াত প্রায় ৭০ লাখ রুপি।

হরিশ রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'যশ আগেও আমাকে সাহায্য করেছে। কিন্তু আমি বারবার তার কাছে সাহয্য চাইতে পারি না। আমি জানি, আমার খবর পেলে সে নিশ্চয়ই পাশে দাঁড়াবে। আমি আমার পরিবারকে বলেছি, কিছু হলে যেন তাকে জানায়।'

হরিশ রায় কন্নড়, তামিল ও তেলেগু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার পরিচিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- 'ওম', 'সামারা', 'জোড়িহাক্কি', 'রাজ বাহাদুর', 'সঞ্জু ওয়েডস গীতা', 'বেঙ্গালুরু আন্ডারওয়ার্ল্ড', 'স্বয়ংবর', 'নল্লা' এবং বিখ্যাত 'কেজিএফ' সিরিজ।