সিনেমার গল্প বিভিন্নরকম হতে পারে, তার কারণ জীবনের গল্প বলে। এমনই এক গল্প খুলনার পাইকগাছার দেলুটি অঞ্চলের নদীর বাঁধভাঙা মানুষের। 

সেখানকার তেরটি গ্রামের মানুষ ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এরমধ্যেই খবর আসে সরকার পতনের। এই গল্প কীভাবে সারা বাংলাদেশের হয়ে উঠে, তা 'দেলুপি' সিনেমার কাহিনীতে আছে। এটা এই সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতার গল্প। 

সিনেমার কাহিনীতে উঠে এসেছে খুলনার একটি এলাকার গল্প, যা এখন পুরো বাংলাদেশের চিত্র। মানুষ যা নিত্যদিন দেখছে, গণমাধ্যমে খবর হয়ে আসছে। 

তাওকীর ইসলাম ও তার দলের পরিচালনায় 'দেলুপি' সিনেমাটি যেন সময়ের স্বাক্ষর।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাংস্কৃতিক অবস্থার কথা, মানুষে মানুষে ভাগাভাগি, এলাকার উন্নয়নে বাঁধ নির্মাণে সরকারের অনীহা ও মফস্বলের বানভাসি দুই তরুণ-তরুণীর প্রেমের গল্প উঠে এসেছে। 

'দেলুপি' সিনেমার গল্পে জাকির চেয়ারম্যান, মিহির, পার্থ ও পলাশ চরিত্রগুলো সেই অঞ্চলের চিত্র তুলে ধরেছে। সারাদেশে এমন অনেক চরিত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে। এই সিনেমার স্থানীয় সেইসব শিল্পীদের অভিনয়ও খুব মন্দ নয়। বিশেষ করে জাকির চেয়ারম্যান ও মিহির চরিত্র দুটি আলাদা করা যায়। 

সিনেমার পূজামণ্ডপের গানের কথা সুর গায়কী উপস্থাপনে আধুনিক সময়ের ছাপ স্পষ্ট। আবহসংগীত সিনেমার সঙ্গে মানানসই। সিনেমার দুটি গানই যারা তৈরি করেছেন, তাদের আগামী পথ আরও সুন্দর হবে। 

যারা নির্মাতা তাওকীর ইসলাম ও তার দলের 'শাটিকাপ' ও 'সিনপাট' দেখেছেন, তারা জানেন এই নির্মাতা গল্প বলেন স্থানীয় মানুষ ও শিল্পীদের দিয়ে। যা তাকে অন্যদের চেয়ে কিছুটা আলাদা করেছে। তবে কিছু সমস্যা রয়েছে সিনেমায়, যা সিনেমার গল্প, অভিনয় ও গতি মনে করতে দেয়নি। 

আমাদের সিনেমায় রাজনৈতিক গল্প বেশি একটা দেখা যায় না। 'দেলুপি' সেই প্রত্যাশা কিছুটা পূরণ করবে আশা করি।